
হযরত আলী (আঃ) ছিলেন আহল বাইতের প্রধান।
হযরত আলী (আঃ) ছিলেন আহল বাইতের প্রধান। মাওলা আলী (আঃ)-কেই যে রাসূল (সঃ) তাঁহার একমাত্র স্থলাভিসিক্ত করে গিয়াছেন, এই কথা কতিপয় ওহাবী, খারেজী ও ইয়াজিদী কাঠ মোল্লারা ছাড়া সকল সুন্নি ওলামায়ে কেরামগণ মেনে নিয়েছেন । যাহারা ইহা অস্বীকার করে, তাহারাই মূলত ইসলামের শত্রু, আল্লাহ ও তাঁহার হাবিবের শত্রু। কেননা রাসূল (সঃ) নিজেই ইহা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষনা করিয়া গিয়াছেন।
নিন্মে দুইখানা হাদিস আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরা হইলোঃ
রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেনঃ “হে আলী! মূসা (আঃ) এর কাছে হারূণ (আঃ) এর যেরূপ মর্যাদা, আমার কাছে তোমারও সেরূপ মর্যাদা। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে আমার পরে কোন নবী নেই।” (সহীহ বুখারী-কিতাবুল মানাকিব, হাদিস নং- ৩৪৩৪, মিশকাত, ১১তম খন্ড, হাদিস নং- ৫৮২৮)
রাসূল (সঃ) ইরশাদ করিয়াছেন যেঃ “আমি যাহার মাওলা (অভিবাভক), আলীও তাহার মাওলা (অভিবাভক) । হে আল্লাহ! যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ, যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে শত্রুতা রাখ।” (সহিহ মুসলিম-২য় খন্ড, মুসনাদে ইমাম হাম্বল-৪র্থ খন্ড)
রাসূল (সঃ) আরো বলিয়াছেন যেঃ “আলী (আঃ) আমার থেকে এবং আমি তাঁহার থেকে এবং আলীই আমার পর সমস্ত মুমিনগণের ওলি তথা অভিভাববক ও নেতা।” (তিরমিজি-৫ম খন্ড)
অপর একখানা হাদিসে রাসূল (সঃ) ফরমাইয়াছেনঃ “আলী (আঃ)-কে মুহব্বত করা ঈমান, আর আলী (আঃ)-র সঙ্গে শত্রুতা করা মুনাফেকী।” (সহিহ মুসলিম, ১ম খন্ড, পৃ-৪৮)
রাসূল (সঃ) এর এইরূপ মন্তব্যের কারনে অনেক সাহাবায়ে কেরামগণই বলিয়া থাকিতেন যেঃ “আমরা আলী (আঃ) এর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা দেখিয়া নির্ধারন করিতাম যে, কে ঈমানদার ও কে মুনাফিক।”
মাওলা আলী (আঃ) সম্পর্কে রাসূল (সঃ) আরও বলিয়াছেন যেঃ “আমি জ্ঞানের শহর, আলী তার দরজা।” (সহিহ তিরমিজি, ৫ম খন্ড)
অন্য হাদীসে বলেনঃ “যে আলীকে দোষারোপ করল, সে আমাকে দোষারোপ করল, আর যে আমাকে দোষারোপ করল সে খোদাকে দোষারোপ করল। আল্লাহ্ তাকে মুখ নীচু করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন।” (সহি বুখারী-দ্বিতীয় খন্ড, সহি মুসলিম- দ্বিতীয় খন্ড, সহিহ তিরমিজি, ৫ম খন্ড)।
এমনকি রাসূল (সা.) এই দোয়াও করিয়াছেন যেঃ “হে আল্লাহ সত্যকে আলীর পক্ষে ঘুরিয়ে দিও।”
গ্রন্থসূত্রঃ নব্বই তালিমে আল্লাহ্ দর্শন
