
হাজ্জাজের অত্যাচারের ভয়ে হাসান বসরী রাঃ একদা হাবীব আযমী রাঃ এর ইবাদতখানায় প্রবেশ করেন। হাজ্জাজের লোকগণ তাঁহার অনুসরণ করে বটে, কিন্তু হাসান বসরীকে তাহারা দেখিতে পাইল না। হাসান বসরী রাঃ বলেন, “হাজ্জাজের লোকেরা আসিয়া আমার গায়ে হাত দিয়াছিল। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় এই যে, তাহারা আমাকে চিনিতে পারে নাই।” অবশেষে তাহারা হাবীব আযমীকে বলিল, “জনাব, হাজ্জাজ আপনাদের সহিত যে দুর্ব্যবহার করিতেছেন।” আপনারা তাহার উপযুক্তই বটে। কেননা আপনারা মিথ্যা বলিতেছেন।” হাবীব আযমী রাঃ বলিলেন, “হাসান বসরী রাঃ ত বরাবরই এই মসজিদে আমার সহিত নামায পড়িতেছেন।
যদি তোমরা তাহাকে না দেখ, তবে ইহাতে আমার কি অপরাধ হইল?” ইহাতে তাহারা তখনই আবার মসজিদে যাইয়া হাসানকে তালাশ করিল, কিন্তু পাইল না। অবশেষে তাহারা চলিয়া যাইতে বাধ্য হয়। কিছুক্ষণ পর হাসান বসরী রাঃ মসজিদ হইতে বাহির হইয়া বলিলেন, “হে হাবীব আযমী , আমি তোমার ওস্তাদ। কিন্তু তুমি ওস্তাদের মর্যাদা রক্ষা না করিয়া হাজ্জাজের লোককে আমার সংবাদ বলিয়া দিলে।” হাবীব আযমী উত্তরে বলিলেন, “ওস্তাদজী, প্রকৃতপক্ষে আমার সত্য কথা বলার দরুন আপনি মুক্তি পাইয়াছেন।
যদি আমি মিথ্যা বলিতাম, আমরা উভয়েই গ্রেফতার হইতাম। হাসান বসরী রাঃ বলিলেন, “আচ্ছা, তুমি কি পড়িয়াছিলে, যে-জন্য তাহারা আমাকে দেখিতে পাইল না?” হাবীব আযমী রাঃ বলিলেন, “হুযুর দুইবার আয়াতুল কুরছি এবং দশবার কুয়াল্লাহু ও দশবার সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়িয়া দোআ করিয়াছি যে, হে আল্লাহ। আমি ওস্তাদজী হাসান বসরীকে তোমার নিকট সোপর্দ করিলাম, তুমি তাহাকে রক্ষা কর।”
– তাযকেরাতুল আউলিয়া
